স্বাস্থ্য কিন্তু অনেকটা টাকা পয়সার মতো৷ যতক্ষণ না আমরা সেটা হারিয়ে ফেলি ততক্ষণ আমরা সেটার মূল্য বুঝতে পারি না৷ কখনো আমাদের শরীরে বড় সমস্যা দেখা দিলে তখনি আমাদের মাথায় আসে, না এবার ঠিক করে শরীরের যত্ন নিতেই হবে না হলে চলবে না৷
সমস্যা টা হওয়ার আগে থেকে যত্ন নেওয়া শুরু করলে কিন্তু শরীর খারাপের ওই কষ্ট টা ভোগ করতে হয় না৷
সারাদিন আপনি যতটা সময় আপনার ফোনের উপর নষ্ট করেন কোন কাজ ছাড়াই সেই সময়টা যদি আপনি আপনার শরীরের যত্ন নেওয়ার পিছনে লাগাতে পারেন তাহলেই আপনার জীবন কতটা ভাল হতে পারে আপনার কোন ধারনা নেই৷
কিভাবে আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবেন সেটা নিয়েই আজকে আলোচনা হবে৷
1:- Sleep on your left side
আমাদের পাকস্থলীর গঠন অনুযায়ী ডান দিক ফিরে শুলে পাকরস গুলো পেটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে যার কারনে বদহজম, রক্ত চলাচলে সমস্যা, হৃদপিন্ডের প্রদাহ, বিভিন্ন রকমের অসুখ দেখা দিতে পারে৷
বাম দিক অনুযায়ী শুলে পাকস্থলীর গঠন অনুযায়ী পাকরস গুলো তাদের সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে এবং যার ফলে হজম ও ভাল হয় আর রক্ত চলাচলে সুবিধা হয়৷
2:- Drink water
আমাদের ব্যাস্ত জীবনে আমরা অনেকেই পানি খাওয়ার কথা ভুলেই যাই বা যখন পানির তৃষ্ণা পায় তখন একটু পানি পান করি তাও আবার সামান্য পরিমানে আর এটা আমাদের শরীরের পক্ষে একদম ভালো না৷
আমাদের শরীরের প্রতিদিন ৫-৬ লিটার পানির দরকার হয় আর পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান না করলেও আমাদের শরীরের খারাপ হয়ে যায়৷ পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান না করার ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ বা আরো অনেক ধরনের রোগ হয়ে থাকে৷ দিনে অন্তত পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন যেটা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে৷
3:- Walk
WHO অর্থাৎ World health organisation এর মতে আমাদের প্রতি দিন ৮০০০ Steps হাটা উচিত৷ হাটার জন্য বিভিন্ন বাহানা খুজে বের করুন, লিফট এর বদলে সিড়ি ব্যাবহার করুন, মাঝে মাঝে ঘরের মধ্যেই একটু হাটা চলা করুন৷
আমরা অনেকই রাতে খাবারের পরেই বিছানায় শুয়ে পরি আর এটা মোটেও ঠিক না৷ রাতে খাওয়ার পর অন্তত ১০-১৫ মিনিট ঘরের মধ্যেই হাটুন এতে আপনার পেটের হজম টা তাড়াতাড়ি হবে৷
4:- Chew food 32 times
আয়ুরর্বেদিকে বলা হয়েছে যেকোনো রোগের মূল গোড়া হলো আমাদের পেট৷ যদি আমরা আমাদের পেটকে সুস্থ রাখতে পারি তাহলে আমাদের শরীর এমনিতেই সুস্থ থাকবে৷ পেট ঠিক রাখার জন্য আমাদের যে দুটো জিনিস দরকার সেটা হলোঃ-
১ঃ- অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকা
২ঃ- হজম শক্তি ভাল করা৷
এই দুটো জিনিসেই আপনাকে খুব সাহায্যে করবে যদি আপনি আপনার খাবার ৩২ বার চিবিয়ে খান৷ যেকোন অস্বাস্থ্যকর খাবার সেটা যদি আপনি ৩২ বার চিবিয়ে খান তাহলে আপনি দেখবেন ওই অস্বাস্থ্যকর খাবার টা খেতে আর ভাল লাগছে না কিন্তু কোন স্বাস্থ্যকর খাবার আপনি যত চিবিয়ে খাবেন ততই ভাল লাগবে৷
যদি আপনি ৩২ বার চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার আর অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতেই ইচ্ছে করবে না৷ আর অন্যদিকে আমাদের হজম প্রনালীর ৫০% হজমের কাজ আমাদের মুখে ভিতর খাবারটা থাকা কালীনই হয়ে যাওয়ার কথা৷ বাকি ৫০% পেটে গিয়ে৷ খাবার তাড়াতাড়ি গিলে ফেললে মুখের ৫০% কাজটা হবার সুযোগ পায় না ফলে বিভিন্ন করম হজমের গন্ডগোল দেখা দিতে শুরু করে৷ ৩২ বার চিবিয়ে খাওয়া একটু কষ্টকরে অভ্যাস করে নিলেই আমরা এই সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবো৷
5:- Create healthy environment
যদি আমাদের কাছের বন্ধু বান্ধব গুলো সব এইরকম হয় যারা সারাদিন অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে বেড়ায় আর ব্যায়াম করাটা তাদের কাছে বরিং বা সারাদিনে হয়তো ১০-১২ সিগারেট অথবা মাঝে মাঝে মদ৷ তারা সবাই যদি এইরকম Lifestyle lead করে তাহলে তাদের সাথে মিশে, তাদের সাথে খাপ খাওয়ানো আপনার জন্য স্বাভাবিক৷
অন্যদিকে আপনার কাছের বন্ধু বান্ধব গুলো যদি স্বাস্থ্য সচেতন হয়, যারা ব্যায়াম করে, অস্বাস্থ্যকর খাবার খায় না, তাহলে আপনার জন্য তাদের মতো করে চলাটাই স্বাভাবিক৷
তাই আপনি তাদের সাথে বেশি চলাফেরা করেন যারা স্বাস্থ্য সচেতন৷ যারা বোঝে স্বাস্থ্যই সবকিছু৷
এছাড়া আপনার ঘরেই যদি অস্বাস্থ্যকর খাবার থাকে তাহলে সেটা থেকে বিরত থাকুন কারন ঘরের যদি অস্বাস্থ্যকর খাবার থাকে তাহলে এইরকম Environment নিজেকে স্বাস্থ্যকর রাখাটাই বৃথা৷ তাই নিজের চারদিকে এরকম একটা Healthy environment তৈরি করুন যেটা আপনাকে Healthy রাখতে Motivate করবে৷
Thanks to comment Jibon Somossa official blog. Stay with us for more content. Follow us to Facebook. www.facebook.com/jibonsomossa.blog